1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. smds69@gmail.com : কারেন্ট নিউজ : কারেন্ট নিউজ
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

চন্দ্রগঞ্জের চরশাহীতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বহিষ্কার

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ১১৪৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ লক্ষ্মীপুরে বৃদ্ধ রসুল আমিন (৫০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন শান্তকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে হত্যার ঘটনায় মানিক হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মানিক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্তর সহযোগী।

জানা গেছে, শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এম আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এতে বলা হয়, চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন শান্তকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। এর আগে গত ১ অক্টোবর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্তসহ দুইজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৭ জনকে আসামি করে মৃত রসুল আমিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগম রুবি বাদী হয়ে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শান্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। উল্লেখিত অপর আসামি উপজেলার রহিমপুর গ্রামের বিষ্ণ মেস্ত্রির ছেলে। মৃত রসুল আমিন চরশাহী ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় মোজাইক মেস্ত্রি ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় কাজ থেকে অবসর নেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে মোবাইলে কল আসলে কথা বলতে বলতে রসুল আমিন ঘর থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যায় বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানী জীবনপুর গ্রামে রসুল আমিনকে মারধর করা হচ্ছে বলে পরিবারের লোকজন খবর পায়। স্বামীর খোঁজে ফাতেমা বেগম তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে সিএনজিযোগে ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না। একপর্যায়ে তারা লোকজনের কাছ থেকে শুনতে পায় পশ্চিম ভবানী জীবনপুর গ্রামের কচুয়া বিলে রসুল আমিনকে মারধর করে ফেলে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা রসুল আমিনের মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। স্বামী হত্যার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্ত ও দিপুর নাম উল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ফাতেমা বেগম বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী ফাতেমা বেগম রুবি জানান, তার স্বামীকে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না। তিনি হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্ত কর্তৃক প্রকাশ্য দিবালোকে রসুল আমিনকে মারধর করার কথা এলাকাবাসী জানিয়েছেন। হত্যার ঘটনায় আসামি শান্তর সহযোগী মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে আরো জানা যায়, মৃত রসুল আমিনের সাথে তার দুই ভাইয়ের সাথে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিরোধ চলাকালীন শান্তর মামা রফিকুল ইসলাম তখন রসুল আমিনের ভাই মঞ্জুর প্রতিনিধিত্ব করে। সম্পত্তির নিস্পত্তির সময় দুই লক্ষাধিক টাকা খরচ দেখায় রফিক মার্কেটের মালিক রফিক। ঐ টাকার পরিশোধ নিয়ে রফিকের সাথে রসুল আমিনের কথা কাটাকাটি ও রফিককে রসুল আমিন গালিগালাজ করলে রফিক বিষয়টাকে সহজভাবে নেয় নাই।
প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শান্ত চলতি বছরের ২৩ জুলাই রাতে বাড়িতে ঢুকে মো. হাসান নামের এক ব্যবসায়ীকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় শান্ত জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হন। চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক বাবুল আনসারীর পক্ষ হয়ে নিজাম উদ্দিন শান্ত তার নিজস্ব ফেসবুক Nizam Umar আইডি থেকে রিয়াজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের উস্কানিমূলক পোস্ট ও বাবুল আনসারীর সাথে জন্মদিনের উদযাপন প্রসঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি এম আলাউদ্দীন বলেন, চরশাহী ইউনিয়নেরই সন্তান বাবুল আনসারী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় সাধারণ সম্পাদকের পছন্দে তার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি তার পছন্দমত দেওয়া হয়েছে। এদিকে মামলার বাদী ও এলাকাবাসী রসুল আমিন হত্যার পূর্বে প্রকাশ্য দিবালোকে শান্ত কর্তৃক মারধরের ঘটনার বর্ননা দিলেও একটি সুবিধাবাধী পক্ষ বর্তমানে কারাগারে আটক যুবলীগ ইউনিয়ন আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। প্রপাগান্ডা চালাতে গিয়ে মামলায় স্বাক্ষী না দেওয়ায় রসুল আমিনকে হত্যার কথা প্রচার করা হয়। যে মামলার বরাত দিয়ে এ প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে- উক্ত মামলা পিবিআই এর রিপোর্ট পরবর্তী বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দিয়েছে দীর্ঘদিন আগে। তাই প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত করার মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Customized By BreakingNews