1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : কারেন্ট নিউজ : কারেন্ট নিউজ
রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে গুলি-হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা’র নামে মামলা

  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

নুরুল আমিন ভূইয়া দুলাল, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতাকে গুলি ও ৩ হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের নামে মামলা হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘ ১০ বছর ১০ মাস পর মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু বাদী হয়ে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর এসব ঘটনা ঘটে।

মামলার বিষয়টি বাদীর আইনজীবী আহমেদ ফেরদৌস মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের বিচারক আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান মামলাটি আমলে নিয়েছেন। তিনি মামলাটি এফআইআর নেওয়ার জন্য সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্টমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক ছিদ্দিকি, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক এডিজি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, তৎকালীন এআইজি মাহফুজুর রহমান, সাবেক লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান, র্যাব-১১ এর লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর মোহাম্মদ আরিফ, ল্যাফটেন্যান্ট কমান্ডার রানা, ডিএডি জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি তাহেরপুত্র একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু, আনোয়ার সাদাত শিবলু, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক বায়েজীদ ভূঁইয়াসহ ৩৫ জন।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুরে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর বাসা উত্তর তেমুহনীতে র্যাব হামলা চালায়। এসময় তিনি বাসার পেছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বাহিরে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকা তাহেরপুত্র টিপু, শিবলু ও যুবলীগ নেতা বায়েজীদের কারণে তিনি পালাতে পারেননি। পরে র্যাবের তারেক সাঈদ, আরিফ ও রানাসহ অভিযুক্তরা তাকে মারধরে করেন। একপর্যায়ে তার ডান পায়ে উরুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন। পরে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে তিনি প্রাণে রক্ষা পান।
উক্ত ঘটনার একইদিন জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ জুয়েল, বিএনপি কর্মী মাহবুব ও শিহাবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে সেইদিন হামলা চালিয়ে বাদীকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সকলেই জড়িত রয়েছেন।

মামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন সাবু বলেন, হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়ে আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। প্রাণ রক্ষার পর দেশ বিদেশে পালিয়েছিলাম। তখন মামলা করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু মামলা করতে পারিনি। দীর্ঘ ১০ বছর ১০ মাস পর অবশেষে আমি মামলা করতে সক্ষম হয়েছি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মুন্নাফ বলেন, মামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
Theme Customized By BreakingNews