নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ এখন নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। চার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি বেড়ে লক্ষ্মীপুর সহ আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র নদ-নদীর পরিস্থিতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী ২ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (১) আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাংশ ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
কমেন্ট করুন