লক্ষ্মীপর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর রামগতি ও কমলনগরে সড়কের পাশে বেড়িবাঁধে বসবাসরত নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার শত শত কর্মহীন মানুষ ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। এ অসহায় মানুষদের খবর নিচ্ছেনা কোন জনপ্রতিনিধি।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা ও চরমনা গ্রামের (লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক) মহাসড়কটির উত্তর পাশে সরকারি সম্পত্তির ওপরে বসবাস করেন শত-শত নদী-ভাঙা অসহায় মানুষ। এ মহামারি সময় মানুষ গুলোর খবর নিচ্ছেনা জনপ্রতিনিধি’রা। ফলে কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দী মানবেতর জীবন কাটে তাদের। চতুর্দিকে যখন সরকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। ঠিক তখনই এ দুর্যোগকালীন সময় তাঁদের খবর নিচ্ছেনা কেউ।
এখানকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন, দুলাল, হালিমা বেগম ও আমেনা বগেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাক্ষসী মেঘনা আমাদের সবকিছু নিয়ে গেছে। এখন সব-হারিয়ে রাস্তার পাশে বসবাস করি। তাই কেউ আমাদের খবর রাখে না। সরকার সবদিকে চাউল, ডাল, আলু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সহযোগীতা করে। এতটা বছর আমরা রাস্তার পাশে বসবাস করি চেয়ারম্যান, মেম্বার ও প্রশাসনের কেউ আমাদের খোঁজ-খবর রাখে না। তারা আরো বলেন আমরা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। ত্রাণসামগ্রী না দেওয়ার কারণে চেয়ারম্যান বলে আমরা তার ইউনিয়নের ভোটার নয়।
জানতে চাইলে, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান রনি বলেন, রাস্তার পাশে যারা বসবাস করে। তারা আমার ভোটার নয়। তাঁরা কমলনগর ও রামগতির উপজেলার বাসিন্দা। যারা আমার ইউনিয়নের ভোটার ইতিমধ্যে তাদের তালিকা করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাঝে আশাকরি ত্রাণ পৌঁছানো হবে।
চেয়ারম্যান আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, সীমিত ত্রাণ। ইচ্ছে করলেও তাদের জন্য কিছু করতে পারি না। জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সুদৃষ্টি দিলে নদী ভাঙা মানুষ গুলোর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হবে তার মন্তব্য।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ সুকান্ত মজুমদার
০১৯১৬ ১৪১৩১২
currentnews24bd@gmail.com
অফিসঃ ৭৯, গোয়ালনগর লেন,
কোতোয়ালি, ঢাকা
আঞ্চলিক অফিসঃ মিডিয়া কর্ণার,
প্রধান সড়ক, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর
Copyright © 2024 কারেন্ট নিউজ. All rights reserved.