তাপস সাহাঃ করোনা ভয়কে উপেক্ষা করে হোম আইসোলেটেড চিকিৎসাধীন বায়েজিদ ভুইয়াকে দেখতে শুক্রবার রাতে তার নিজ বাড়িতে ছুটে যান করোনা সংকটে ‘হার না মানা-ছুটে চলা যুবরাজ‘ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু।
এ সময় বায়েজিদ ভুঁইয়া আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘মনে হচ্ছে কনডেম সেল এ আছি, আজই আমার শেষ দিন। আপনজন কাছে থেকেও নেই।
এটা কোন জীবন না – এ এক নরক যন্ত্রনা। সব থেকেও কিছু নেই আমার। মানুষ অসুস্থ হলে পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, ডাক্তার-নার্স সার্বক্ষনিক কেউ না কেউ পাশে থাকে। অথচ আজ আমার পাশে কেউ নেই। সব চেয়ে বড় কষ্ট, আমার স্ত্রী-সন্তান, আমার পরিবার কাছে আসতে পারছেনা। এর চেয়ে যন্ত্রনার, এর চেয়ে কষ্টের, আর কিছুই নেই।
লক্ষ্মীপুর ০৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বায়েজিদ ভূঁইয়া এক মাস যাবৎ সংসদ সদস্যের পক্ষে প্রায় ২৪ হাজার অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে আসছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে গত ২ মে নমুনা টেষ্ট করতে দেন। ৮ মে টেষ্টের ফলাফল পজেটিভ আসে৷ বর্তমানে তিনি হোম আইসোলেটেড চিকিৎসাধীন আছেন।
বায়েজিদ ভূঁইয়া হোম আইসোলেটেডে থেকে মানসিক যন্ত্রানায় ভুগছিলেন তখন তার পাশে দাঁড়ালেন জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু। তিনি বলেন, ভয় নয়, মনোবল’ই জয়। মানসিক ভাবে শক্ত থাকুন। র্ধৈয্য ধরুন। আপনার স্ত্রী-সন্তান, পরিবার, এলাকাবাসী সবাই আছে। আমরা আছি, অসহায় মানুষগুলোর দোয়া আছে, যে কোন প্রয়োজনে, যে কোন সময় আমরা আপনার পাশে আছি। নিজেকে একা ভাবার কোন কারন নাই ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কমলনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী, জেলা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন আরিফ, যুবলীগ নেতা আব্দুর জব্বার লাভলু, মিজানুর রহমান মিজান, গিয়াস উদ্দিন সোহাগ, রকি সহ অনেকেই।
কমেন্ট করুন