তাপস সাহাঃ লক্ষ্মীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা না মেনে ‘ প্রধানমন্ত্রীর উপহার‘ খাদ্য সামগ্রী গ্রহন করছে নিন্ম ও স্বল্প আয়ের মানুষ। খাদ্য সহায়তা নেওয়ার পর তারা ঘরে থাকার কথা থাকলেও নির্দেশনা কর্ণপাত করছে না সুবিধা ভোগী মানুষ।
করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং এই সময় যেন কেউ অভুক্ত না থাকে এজন্য সরকার বিভিন্ন ভাবে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। এবং যতদিন এই পরিস্থিতি থাকবে ততদিন এই সহযোগীতা থাকবে বলে সরকারের পক্ষে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারনকে সচেতন করার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তার নিশ্চয়তার কথা প্রচার করে আসছেন। সর্বশেষ যারা এখন পযর্ন্ত কোন সহযোগীতা পায়নি তাদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার‘ খাদ্য সামগ্রী নিন্ম আয়ের জনগনের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু বাস্তব অবস্থা কিছুটা ভিন্ন। জনসাধারন প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিলেও তারা ঘরে থাকছেন না। মানছেন না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা। ওয়ার্ড ভিত্তিক ত্রান কমিটির মাধ্যমে বাদ পরা মানুষের তালিকা তৈরী হলেও উপহার বিতরনের সময় অধিকাংশ লোকজনই আসেনি। ত্রান নিতে এসেছে তাদের পরিবারের মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, ছেলে বা মেয়ে। যাদের নামের তালিকা তৈরী হয়েছে তারা হাট-বাজার, ক্ষেত-খামার বা অন্য কোথাও কাজ করতে গেছেন। তারা ঘরে থাকছেন না। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার‘ খাদ্য সামগ্রী বিতরনের সফলতা নিয়ে সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধ হিসাবে জনসাধারনকে ঘরে থাকার জন্য খাদ্য সহায়তা প্রণোদনা তেমন সফল হচ্ছে না বলে সুধীজনরা মনে করছেন।
গত কয়েকদিন থেকে লক্ষীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি,চররুহিতা,হামছাদীসহ বেশ কিছু ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় একইরকম চিত্র।
করোনা ভাইরাসে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার” খাদ্য সামগ্রী নিন্ম আয়ের জনগনের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ । ৩য় ধাপে বরাদ্দ প্রাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ইউনিয়নের তালিকাভূক্ত পরিবারের মাঝে প্রত্যেক ওয়ার্ড ভিত্তিক বিতরণ করা হয়। এ সময় সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ট্যাগ অফিসার, ইউপি স’চিব, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, উপজে’লা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড ত্রাণ উপ কমিটির সকল সদস্যগণ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ, সকল ইউপি সদস্য বৃন্দ উপস্থিত থাকেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে খাদ্য সহায়তা যারা নিবে তারা ঘরে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তালিকায় নাম আছে একজনের, উপহার নিতে আসছে অন্যজন। এরকম দু‘একজন মহিলার সাথে কথা হলে তারা জানায়, তারা স্বামীর নামের বরাদ্দকৃত উপহার নিতে আসছে। স্বামী কাজ করতে অন্য জায়গায় গিয়েছে।প্রশ্ন হলো, কেউ যদি ঘর থেকে বের হয় তাহলে তাকে খাদ্য সহায়তা কেন।
১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু জানান, যারা স’রকারের কোন ধরনের সুবিধা পায় তাদেরকে বাদ দিয়ে মেম্বারের সহযোগীতায় ত্রান কমিটির মাধ্যমে এলাকা ভিত্তিক তালিকা তৈরী হয়েছে। এছাড়া সামাজিক সুরক্ষার ভিত্তিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য বার বার নির্দেশনা দেওয়া হলেও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে তা মানা হয়নি। কে শুনে কার কথা? কিসের বৃত্ত অনুসরণ? নিজের মতো করে চলছেই সবকিছু। লাহারকান্দি ইউনিয়নে ক’রোনা পজিটিভ রো’গী থাকা সত্বেও এলাকাবাসীর সচেতনতা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
কমেন্ট করুন